ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর নাভিমূল দিয়ে বের হচ্ছে শামুকের ছানা। এমন খবর পেয়ে হাসপাতালের নতুন ভবনের পাঁচ তলায় মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মঙ্গলবার বিকেলে লিপি বেগম নামের ওই গৃহবধূকে দেখতে ভিড় করেন আশেপাশের বেডের রোগীরা।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামজার গ্রামের ২৬ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তার স্বামী ওহিদুল ইসলাম কৃষি কাজ করেন। ওহিদুলের বড় ভাই মাসুদুর রহমান জানান, দেড় মাস যাবৎ প্রচণ্ড পেটের ব্যথায় অসুস্থ লিপি। তাকে পাংশা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। তার নাভি দিয়ে দু’সপ্তাহ যাবৎ শামুকের বচ্চা বের হচ্ছে। এজন্য আজ ফরিদপুর মেডিকেলে এনে ভর্তি করেছি।
লিপির মা রাশিদা বেগম বলেন, রোজার মাসের মাঝামাঝি থেকে আমার বড় মেয়ে লিপির পেটে ব্যথা। টাকার অভাবে এতদিন ফরিদপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে পারিনি। কিন্তু আজ ১৮ দিন হয়ে গেল নাভি দিয়ে শামুক বের হচ্ছে, পেটের ব্যথাও কমছে না। তাই বাধ্য হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। মঙ্গলবার সকালেও চারটি শামুকের বাচ্চা বের হয়েছে বলে জানান তিনি। একটি কাগজে মৃত পোকার কিছু অংশও দেখান রাশিদা বেগম। বেডের আশেপাশের রোগীরাও সাক্ষ্য দেন, তারাও দেখেছেন শামুক ছানার মতো পোকা নড়াচড়া করতে।
তবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, লিপির নাভিতে ইনফেক্শন হয়েছে সেখান থেকে পোকা হয়ে গেছে। ওগুলো শামুকের বাচ্চা নয়, এক ধরনের পোকা। তার ইনফেকশনের চিকিৎসা চলছে।